২০১৫ সাল বিশ্বকাপের পর আবারো বাংলাদেশ ও ভারতের জীবন মরনের লড়াই।
ক্রিকেট গৌরবময় অনিশ্চয়তার গল্প বলে। এ কারণেই শিরোনামে প্রশ্নবোধক চিহ্ন
রেখে দিতে হচ্ছে। না হলে ১২ ওভার হাতে রেখে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর
ভারতের গ্রুপ ‘বি’তে চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রায় নিশ্চিত। আর সে ক্ষেত্রে আগামী
১৫ জুন এজবাস্টনে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকেই পাচ্ছে।
গত কিছুদিন
ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ উত্তেজনায় পাকিস্তান-ভারতকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিংয়ে ম্যাচের উত্তেজনা
মাঠের বাইরে বেশি উত্তাপ ঝরিয়েছে। সে বছরই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বাংলাদেশের
কাছে সিরিজ হেরে বসা; মোস্তাফিজকে ধোনির ধাক্কা—দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা
অন্য পর্যায়ে উঠে গেছে। এশিয়া কাপে দুই দলের দুবার দেখা হওয়া এবং
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র ১ রানে ভারতের জয় পাওয়াও উত্তাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে
প্রতিনিয়ত।
এরই মধ্যে যথেষ্ট চমক দেখিয়ে শেষ চারে উঠে যাওয়া বাংলাদেশ
কি আরও কোনো বিস্ময় মুঠোয় পুরে রেখেছে? প্রথমবারের মতো আইসিসির এত বড়
আয়োজনের শেষ চারে উঠে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ক্ষুধা যেন আরও বেড়েছে।
এই
ম্যাচে ভারতই থাকবে ফেবারিট। চাপটাও তাদের ওপর। বাংলাদেশের হারানোর কিছু
নেই, পাওয়ার আছে অনেক কিছু। বাংলাদেশ-ভারত সেমিফাইনাল নিশ্চয়ই রোমাঞ্চ
ছড়াবে। যদিও এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে বলে দেওয়া যাচ্ছে না সেমিফাইনালে এই দুই
দলই মুখোমুখি হবে কি না। ক্রিকইনফো অবশ্য আজ তাদের ম্যাচের ধারাভাষ্যে মোটা
হরফেই লিখে দিয়েছে: সেমিফাইনালে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ভারত।
৩৮
ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই ১৯১ রান তাড়া করে ফেলেছে কোহলির দল। এ ম্যাচের
আগেই রান রেটে সবচেয়ে এগিয়েছিল ভারত। আজ ৭২ বল বাকি রেখে ম্যাচ জেতায় সেটা
বেড়েছে আরও (+১.৩৭)। আগামীকাল ভারতকে রানরেটে টপকাতে হলে পাকিস্তান কিংবা
শ্রীলঙ্কাকে প্রায় অবিশ্বাস্য কোনো ব্যবধানে ম্যাচ জিততে হবে।
‘বি’
গ্রুপে রানরেটে ভারতের পরে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু মাত্র ২ পয়েন্ট
পাওয়ায় কোনোভাবে সেমিফাইনালে যাওয়া হচ্ছে না তাঁদের। আগামীকাল
শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচের বিজয়ীই যাবে সেমিফাইনালে। এমনকি বৃষ্টিতে এই
ম্যাচ ভেসে গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকার আর সুযোগ নেই। বৃষ্টিতে ভেসে গেলে
শ্রীলঙ্কা চলে যাবে সেমিফাইনালে। তখন তারা খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
দুই
ম্যাচ খেলার পর শ্রীলঙ্কার রানরেট এখন (-০.৮৭৯)। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে
সেটা আরও বাজে (-১.৫৪৪)। এর মানে কাল যদি ভারতকে টপকাতে চায় শ্রীলঙ্কা, তবে
প্রথমে ব্যাট করে ৩০০ রান করার পর পাকিস্তানকে ৮ রানের মধ্যে অলআউট করে
দিতে হবে। রান এর চেয়ে কম বেশি হলেও ব্যবধানটা কমপক্ষে ২৯২ রাখতে হবে
শ্রীলঙ্কাকে। ফলে এই গ্রুপে শ্রীলঙ্কার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া এক রকম নেই
বললেই চলে।
পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও হিসাবটা প্রায় একই রকম। প্রায় ২৭০ রানের ব্যবধানে জিততে হবে তাদের। তাহলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে তারা।
তাই ভারত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে এটাই প্রায় নিশ্চিত। ফলে অন্য গ্রুপের রানার্স আপ বাংলাদেশের সঙ্গে দেখা হচ্ছে তাদের।
Post a Comment
0Comments
3/related/default