জীবন যুদ্ধবাজি রেখে আজ মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান ক্রিকেট টিম।

The moment of death
0

আজ দ্বিতীয় ‘কোয়ার্টার ফাইনালে’ মুখোমুখি হওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বললেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ ও শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস 
 শ্রীলঙ্কাঅ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস
শ্রীলঙ্কা
* শ্রীলঙ্কার নতুন এই দলটাই কিনা সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে। দলটা কি ধারণার চেয়ে একটু বেশি ভালো অবস্থানে আছে?
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস: দিন দিন আরও উন্নতি করাটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা জানি আমরা কী করতে পারি। সেটি করেও দেখিয়েছি। তবে আমরা দূর ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি ভাবি না। এখন যেমন সেমিফাইনাল নিয়ে ভাবছি না। ভাবছি আগামীকালের (আজ) পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে। ওদের দলটা ভয়ংকর, ওদের হারাতে আমাদের খুব ভালো খেলতে হবে। এ ধরনের টুর্নামেন্টে আত্মপ্রসাদে ভোগার সুযোগ নেই। সেরা খেলাটা খেলেই ওদের হারাতে হবে।
* ভারতের বিপক্ষে এত ভালো খেলার পর কার্যত এই কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটাকে কীভাবে নিচ্ছেন? প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকেও বা কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন?
ম্যাথুস: এ ধরনের ম্যাচে চাপ থাকবেই। সেটা টেরও পাচ্ছি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে আমাদের কোনো প্রত্যাশা ছিল না। ওই ম্যাচে চাপটা আমাদের ওপরে ছিল না। এই ম্যাচে (পাকিস্তান) অবশ্য চাপ কিছুটা আছে। তবে আমরা এটাকে সাধারণ একটা ম্যাচ হিসেবেই নিয়েছি।
* প্রথম দুই ম্যাচে রান তাড়ায় ভিন্ন দুই শ্রীলঙ্কাকে দেখা গেছে। ব্যাপারটা কী পরিকল্পিত ছিল?
ম্যাথুস: দুই ম্যাচেই আমরা চেয়েছিলাম ভালো একটা শুরুর পর কেউ যেন ধরে খেলে। আমাদের মাথায় এটাই ছিল যে আস্কিং রানরেটটা যেন আটের নিচে থাকে। দ্বিতীয় ম্যাচে আমি ধরে খেললাম। অন্যরা ভালো ব্যাট করল। প্রথম ম্যাচে যেটা পারিনি আমরা।
আজ দ্বিতীয় ‘কোয়ার্টার ফাইনালে’ মুখোমুখি হওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বললেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ ও শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস 
 --------


পাকিস্তান মোহাম্মদ হাফিজ
পাকিস্তান
* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে কী ভাবছেন...
হাফিজ: আমাদের জন্য সমীকরণটা পরিষ্কার, ম্যাচটা জিততেই হবে। অন্য কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা তাই প্রস্তুত। এ ম্যাচটা জিতে আমরা সেমিফাইনালে যেতে চাই।
* প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সবকিছুই ভুল ছিল। আবার দ্বিতীয় ম্যাচে সবকিছুই ঠিকঠাক হয়েছে। বদলে যাওয়ার রহস্যটা কী?
হাফিজ: আমাদের নামের পাশে যে অননুমেয় তকমাটা লেগে গেছে সেটা আমি খুব উপভোগ করি। বাজে কিছু দিন আসে, যেদিন কিছুই পক্ষে যায় না। প্রথম ম্যাচটা ছিল সে রকম দিনে, সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও কিছু করতে পারিনি। পরের ম্যাচে মনে হলো আমাদের পুরো দলটাই যেন বদলে গেছে।
* সেমিফাইনালে উঠলেই কি ধরে নেওয়া যাবে পাকিস্তানের ক্রিকেট ঠিক পথে এগোচ্ছে?
হাফিজ: এটা অবশ্যই একটা অর্জন হবে। এই প্রতিযোগিতায় সবাই ভালো করতে চায়। আমি মনে করি, ঠিক পথেই এগোচ্ছি আমরা।
* অননুমেয় তকমাটা আপনার কেন ভালো লাগে?
হাফিজ: এটা আমার ব্যক্তিগত মত। সম্ভবত ১৯৯২ সালে পাকিস্তান যেবার বিশ্বকাপ জিতল সেবারই প্রথম বিশেষণটা দেওয়া হয়। ওই সময় থেকে পাকিস্তানের ক্রিকেটের ইতিহাস দেখলে অননুমেয় একটা দলই পাবেন। আমাদের প্রতিভা আছে, কিন্তু সেটা কখন কাজ করবে আপনি বলতে পারবেন না। প্রতিপক্ষও পারে না। তাই তারা আমাদের কখনোই হালকাভাবে নিতে পারে না। আমাদের এই দলটা নতুন। তবে আমরা সব চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। আইসিসি–ক্রিকেটডটকম।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)