পাকিস্তানের মরন কামড়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লরছে ফেবারিট ইংল্যান্ড।

The moment of death
0

 A Group চ্যাম্পিয়ান দল এখন ভয়কট অবস্থায়।


চমক দেখিয়েই যাচ্ছে পাকিস্তান। একেকটি বাঁচা-মরার ম্যাচ খেলতে নামছে তারা, আর অভিষেক হচ্ছে একের পর এক খেলোয়াড়ের! চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালের মঞ্চে আজ অভিষেক হয়েছে রুম্মান রইসের। টানা তিন ম্যাচে তিনজনের ওয়ানডে অভিষেক। আর অভিষিক্ত এই বাঁহাতি পেসারই প্রথম ধাক্কা দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। 
আসল চমক অবশ্য পাকিস্তান গত কয়েক ম্যাচ ধরেই দেখাচ্ছে। আজ কার্ডিফে যেমন স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ঠেসে ধরেছে পাকিস্তান। ১৪৮ রানে ফেলে দিয়েছে ৫ উইকেট। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করেছে ইংল্যান্ড।
এক ধাপ পিছিয়েই ম্যাচ শুরু করেছিল পাকিস্তান। টসের সময় জানা গেছে, চোট পাওয়ায় থাকবেন না মোহাম্মদ আমির। তাতেই সুযোগ হয়ে গেল রুম্মান রইসের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফখর জামান, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাহীম আশরাফের পর আজ আগমন রইসের! পাকিস্তান যেন খেলোয়াড়দের অভিষেকের স্বপ্ন পূরণ করতেই এসেছে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। এমন সাহসী সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণিত করতেও খুব বেশি সময় নিলেন না রইস। একদম নির্দিষ্ট করে বললে ১৭ বল।
ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে এগিয়ে এসে বাউন্ডারি মারতে গেলেন অ্যালেক্স হেলস। কিন্তু টাইমিংয়ে গরমিল, কাভারে বাবর আজমের হাতে ধরা পরলেন ইংলিশ ওপেনার। হেলসকে অবশ্য আগের ওভারেও ‘আউট’ করেছিলেন রইস। কিন্তু এলবিডব্লিউ হওয়া হেলস রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। কিন্তু তা সাময়িক মুক্তি ছিল। ১০ বল পরেই ৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারাল ইংল্যান্ড। ৩৪ রানে প্রথম উইকেটের পতন।
ভাগ্য সহায় না হলে শূন্য রানেই সেই উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যেতে পারত। জুনায়েদ খানের দ্বিতীয় বল আঘাত হানে জনি বেয়ারস্টোর প্যাডে। আম্পায়ার ‘না’ বলায় রিভিউ নেয় পাকিস্তান। রিপ্লে দেখায়, স্টাম্প ছুঁয়ে যেত বল। কিন্তু আম্পায়ার্স কল হওয়ায় বেঁচে যান বেয়ারস্টো। জেসন রয়ের বদলে সুযোগ পাওয়া বেয়ারস্টোও পান নিজের জায়গা পাকা করার দ্বিতীয় সুযোগ।
এ পিচেই শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ায় আজ স্পিনারদের গুরুত্ব বেড়েছে। এতেই দলে সুযোগ হয়েছে লেগ স্পিনার শাদাব খানের। তাঁকে জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন আগের ম্যাচে দারুণ করা আশরাফ। শাদাব এর প্রতিদান প্রায় দিয়ে দিচ্ছিলেন ১৬তম ওভারে। কিন্তু বেয়ারস্টোর শট হাতে লাগিয়েও বলটা ধরে রাখতে পারেননি আজহার আলী। এর আগে আজহার রইসের বলেও বেয়াস্টোর ক্যাচ ফেলেছিলেন।
তবে পাকিস্তানকে এ নিয়ে খুব আক্ষেপে পুড়তে হয়নি। তৃতীয়বারের মতো জীবন পাওয়া বেয়ারস্টো (৪৩) শেষে ফিরলেন মাত্রই আক্রমণে আসা হাসান আলীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে। হাসান পরে ফিরিয়েছেন অধিনায়ক মরগানকেও (৩৩)। মরগানের আগে রুট আর পরে বাটলার ফিরে গেলে বিপদে পড়ে যায় ইংল্যান্ড।
আপাতত সে বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন স্টোকস ও মঈন আলী।

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)